বিষয়বস্তুতে চলুন

প্যারাগুয়ে জাতীয় ফুটবল দল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
প্যারাগুয়ে
দলের লোগো
ডাকনামলস গুয়ারানিয়েস (গুরানি)
লা আলবিরোহা (সাদা-লাল)
অ্যাসোসিয়েশনপ্যারাগুয়ীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন
কনফেডারেশনকনমেবল (দক্ষিণ আমেরিকা)
প্রধান কোচএদুয়ার্দো বেরিসো
অধিনায়কগুস্তাবো গোমেস
সর্বাধিক ম্যাচপাওলো দা সিলবা (১৪৮)
শীর্ষ গোলদাতারোকে সান্তা ক্রুস (৩২)
মাঠএস্তাদিও দেফেন্সোরেস দেল চাকো
ফিফা কোডPAR
ওয়েবসাইটwww.apf.org.py
প্রথম জার্সি
দ্বিতীয় জার্সি
ফিফা র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ৫৩ অপরিবর্তিত (২১ ডিসেম্বর ২০২৩)[]
সর্বোচ্চ(মার্চ ২০০১)
সর্বনিম্ন১০৩ (মে ১৯৯৫)
এলো র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ৪৩ হ্রাস ৫ (১২ জানুয়ারি ২০২৪)[]
সর্বোচ্চ(ফেব্রুয়ারি ১৯৫৪)
সর্বনিম্ন৪৩ (আগস্ট ১৯৬২, মার্চ ২০১৪, মার্চ ২০১৫)
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা
 প্যারাগুয়ে ১–৫ আর্জেন্টিনা 
(আসুনসিওন, প্যারাগুয়ে; ১১ মে ১৯১৯)
বৃহত্তম জয়
 প্যারাগুয়ে ৭–০ বলিভিয়া 
(রিউ দি জানেইরু, ব্রাজিল; ৩০ এপ্রিল ১৯৪৯)
 হংকং ০–৭ প্যারাগুয়ে 
(হংকং; ১৭ নভেম্বর ২০১০)
বৃহত্তম পরাজয়
 আর্জেন্টিনা ৮–০ প্যারাগুয়ে 
(সান্তিয়াগো, চিলি; ২০ অক্টোবর ১৯২৬)
বিশ্বকাপ
অংশগ্রহণ৮ (১৯৩০-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যকোয়ার্টার-ফাইনাল (২০১০)
কোপা আমেরিকা
অংশগ্রহণ৩৮ (১৯২১-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যচ্যাম্পিয়ন (১৯৫৩, ১৯৭৯)

প্যারাগুয়ে জাতীয় ফুটবল দল (স্পেনীয়: Selección de fútbol de Paraguay) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্যারাগুয়ের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম প্যারাগুয়ের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্যারাগুয়ীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯২৫ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯২১ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা কনমেবলের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯১৯ সালের ১১ই মে তারিখে, প্যারাগুয়ে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; প্যারাগুয়ের আসুনসিওনে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে প্যারাগুয়ে আর্জেন্টিনার কাছে ৫–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।

৪২,৩৫৪ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট এস্তাদিও দেফেন্সোরেস দেল চাকোে লস গুয়ারানিয়েস নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় প্যারাগুয়ের রাজধানী আসুনসিওনে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন এদুয়ার্দো বেরিসো এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন পালমেইরাসের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় গুস্তাবো গোমেস

প্যারাগুয়ে এপর্যন্ত ৮ বার ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছানো, যেখানে তারা স্পেনের কাছে ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে। অন্যদিকে, কোপা আমেরিকায় প্যারাগুয়ে অন্যতম সফল দল, যেখানে তারা ২টি (১৯৫৩ এবং ১৯৭৯) শিরোপা জয়লাভ করেছে। এছাড়াও ২০০৪ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে প্যরাগুয়ে রৌপ্য পদক অর্জন করে, যেখানে তারা ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে ১–০ গোলে গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।[]

পাওলো দা সিলবা, হুস্তো বিয়ার, রোকে সান্তা ক্রুস, নেলসন বালদেস এবং হোসে কারদোসোর মতো খেলোয়াড়গণ প্যারাগুয়ের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।

র‌্যাঙ্কিং

[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে, ২০০১ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে প্যারাগুয়ে তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (৮ম) অর্জন করে এবং ১৯৯৫ সালের মে মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা ১০৩তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে প্যারাগুয়ের সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ৪র্থ (যা তারা ১৯৫৪ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ৪৩। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং
২১ ডিসেম্বর ২০২৩ অনুযায়ী ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং[]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
৫১ অপরিবর্তিত  মালি ১৪৪৫.৬
৫২ অপরিবর্তিত  কোস্টা রিকা ১৪৩৭.৫৭
৫৩ অপরিবর্তিত  প্যারাগুয়ে ১৪৩০.৭৩
৫৪ অপরিবর্তিত  স্লোভেনিয়া ১৪২৭.৮৪
৫৫ অপরিবর্তিত  জ্যামাইকা ১৪২১.৫৪
বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
১২ জানুয়ারি ২০২৪ অনুযায়ী বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং[]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
৪২ হ্রাস  কানাডা ১৭০৬
৪৩ হ্রাস  প্যারাগুয়ে ১৭০৫
৪৪ হ্রাস  চিলি ১৭০০
৪৫ হ্রাস  ওয়েলস ১৬৯৬

প্রতিযোগিতামূলক তথ্য

[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্বকাপ

[সম্পাদনা]
ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব
সাল পর্ব অবস্থান ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো
উরুগুয়ে ১৯৩০ গ্রুপ পর্ব ৯ম আমন্ত্রণের মাধ্যমে উত্তীর্ণ
ইতালি ১৯৩৪ অংশগ্রহণ করেনি অংশগ্রহণ প্রত্যাখ্যান
ফ্রান্স ১৯৩৮
ব্রাজিল ১৯৫০ গ্রুপ পর্ব ১১তম স্বয়ংক্রিয়ভাবে উত্তীর্ণ
সুইজারল্যান্ড ১৯৫৪ উত্তীর্ণ হয়নি
সুইডেন ১৯৫৮ গ্রুপ পর্ব ১২তম ১২ ১১
চিলি ১৯৬২ উত্তীর্ণ হয়নি
ইংল্যান্ড ১৯৬৬
মেক্সিকো ১৯৭০
পশ্চিম জার্মানি ১৯৭৪
আর্জেন্টিনা ১৯৭৮
স্পেন ১৯৮২
মেক্সিকো ১৯৮৬ ১৬ দলের পর্ব ১৩তম ১৪
ইতালি ১৯৯০ উত্তীর্ণ হয়নি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৪
ফ্রান্স ১৯৯৮ ১৬ দলের পর্ব ১৪তম ১৬ ২১ ১৪
দক্ষিণ কোরিয়া জাপান ২০০২ ১৬ দলের পর্ব ১৬তম ১৮ ২৯ ২৩
জার্মানি ২০০৬ গ্রুপ পর্ব ১৮তম ১৮ ২৩ ২৩
দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০ কোয়ার্টার-ফাইনাল ৮ম ১৮ ১০ ২৪ ১৬
ব্রাজিল ২০১৪ উত্তীর্ণ হয়নি ১৬ ১০ ১৭ ৩১
রাশিয়া ২০১৮ ১৮ ১৯ ২৫
কাতার ২০২২ অনির্ধারিত অনির্ধারিত
মোট কোয়ার্টার-ফাইনাল ৮/২১ ২৭ ১০ ১০ ৩০ ৩৮ ১৫৪ ৬৬ ৩০ ৫৮ ২০১ ১৮৯

অর্জন

[সম্পাদনা]

শিরোপা

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং"ফিফা। ২১ ডিসেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ 
  2. গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"eloratings.net। ১২ জানুয়ারি ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২৪ 
  3. Since 1992, squads for Football at the Summer Olympics have been restricted to three players over the age of 23. The achievements of such teams are not usually included in the statistics of the international team.

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]